ছবি: বাংলানিউজ
ঢাকা: ঢাকা টেস্ট শেষে ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট যখন সংবাদ মাধ্যমের সামনে এলেন, দেখেই বোঝা যাচ্ছিল নিদারুণ হতাশায় তার তারুণ্যদীপ্ত মুখটি কতোটা ক্লান্ত। যেন বড়সড় কোন সাইক্লোন মাত্রই তাকে দুমড়ে-মুচড়ে দিয়ে গেছে। স্বাভাবিক কথাটিও মুখ দিয়ে বের হচ্ছিল না। হাসছিলেন কিন্তু তা নেহায়েত কষ্ট করে।
সংবাদ মাধ্যমকর্মীদের প্রথম প্রশ্নটি শেষ না হতেই বলেন, ‘এটা খুবই হতাশাজনক। আমাদের বোলাররা ভাল করেছে, তবে ব্যাটিং সব শেষ করে দিয়েছে। আমি খুবই হতাশ। ভারতেও আমাদের ভাল সিরিজ যায়নি, সে কারণে আমি চেয়েছিলাম ব্যাটিংটাকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে। কিন্তু সেটা হয়নি। আমাদের মনোবল দৃঢ় রাখতে হবে এবং পরবর্তী সিরিজে ব্যাটিংটাকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।’
গেল জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে স্বাগতিকদের পেসবান্ধব উইকেটেই টেস্ট সিরিজে নাকাল হয়ে ২-০ তে সিরিজ হারের গ্লানি নিয়ে দেশে ফেরে টাইগাররা। সেই গ্লানি তাদের ফিরিয়ে দিতে চট্টগ্রামের পর ঢাকাতেও স্পিনবান্ধব উইকেট করে বেদনার নীলে ঢেকে দেয় স্বাগতিকরা।
নিজেদের কন্ডিশনের শতভাগ সুবিধা কাজে লাগিয়ে ম্যাচটিতে এমন ফলাফলের পর উইকেটের কৃতজ্ঞতা স্বীকার না করাটা অকৃতজ্ঞতারই শামিল। তবে ব্র্যাথওয়েট মনে করেন উইকেট নয়, বিব্রতকর হারের পেছনে ব্যাটসম্যানরাই দায়ী। আবার কন্ডিশনের অবদানকে অস্বীকারও করলেন না ২৬ বছর বয়সী এই ক্যারিবিয়ান দলপতি।
বলেন, ‘আমি উইকেটকে দোষারোপ করতে পারি না। কিছু শট নির্বাচন কোনোভাবেই ভাল ছিল না, বিশেষ করে গতকাল (শনিবার) শেষ বিকেলে। কন্ডিশন অনেক বড় ব্যাপার। আমরা ঘরের মাটিতে ভাল খেলেছি। তারা পেসের বিপক্ষে সংগ্রাম করেছে আর আমরা স্পিনের বিপক্ষে করলাম।’
‘সত্যি বলতে কি, স্পিন হচ্ছে স্পিনই! আমার মনে হয় এখানে পিচগুলো কিছুটা শুষ্ক। সঠিক সময়ে আমরা উপযুক্ত শটগুলো প্রয়োগ করিনি। সম্মিলিতভাবেই আমরা ব্যাট হাতে কিছুই করতে পারিনি।’
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৮
এইচএল/এমকেএম