সিরাজগঞ্জে দু’টি কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স ছিনতাই ও ফল ঘোষণা নিয়ে রোববার রাতে গ্রামবাসীর সঙ্গে র্যাবের ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে র্যাবের ডিএডি এবং ওসিসহ ৫০ জন আহত হয়েছে। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী র্যাব ও পুলিশের দুটি গাড়ি ভাংচুর করে।
সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জে দু’টি কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স ছিনতাই ও ফল ঘোষণা নিয়ে রোববার রাতে গ্রামবাসীর সঙ্গে র্যাবের ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে র্যাবের ডিএডি এবং ওসিসহ ৫০ জন আহত হয়েছে। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী র্যাব ও পুলিশের দুটি গাড়ি ভাংচুর করে।
পুলিশ ও র্যাব বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক লাঠিচার্জ ও কমপক্ষে ৩০ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। পরে তড়িঘড়ি করে ওই দুই কেন্দ্রের ব্যালট বাক্সগুলো উপজেলা নির্বাহী অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। আহতদের মধ্যে পাঁচ র্যাব ও পুলিশ কর্মকর্তাকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
শিয়ালকোল ইউনিয়নের নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত উল্লাপাাড়া থানার ওসি তাজুল হুদা বাংলানিউজকে জানান, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়ন সংলগ্ন ভোটকেন্দ্রে ভোট গণনা শেষে রাত ৮ টার দিকে স্থানীয় প্রার্থীরা হামলা চালালে এ ঘটনা ঘটে।
ইটের আঘাতে উল্লাপাড়া থানার ওসি তাজুল হুদাসহ পাঁচ পুলিশ আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ ও ১৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়। পুলিশের লাঠিচার্জে আরও ২০ গ্রামবাসী আহত হন।
অপরদিকে র্যাব-১২’র উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) মফিজ উদ্দীন জানান, সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের হরিনহাটা ভোটকেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারের আগেই স্থানীয় এক ব্যক্তিকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করতে দেওয়ায় এলাকাবাসী ভোটকেন্দ্রে হামলা চালায়।
স্থানীয় লোকজনের ইট-পাটকেলের আঘাতে র্যাবের উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) মফিজউদ্দীন, দারোগা দিপেন্দ্রনাথ, সার্জেন্ট সেলিম, আনসার পিসি (প্লাটুন কমান্ডার) আব্দুল বাসেত ও আমিসহ কমপক্ষে পাঁচ কর্মকর্তা আহত হয়। পরে র্যাব লাঠিচার্জ ও ১৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। র্যাবার বুলেট ও লাঠিচার্জে ২০ গ্রামবাসী আহত হয়।
সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মোশারফ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ভোট সম্পন্ন হওয়ার পর তুচ্ছ বিষয় নিয়ে গ্রামবাসী ও প্রার্থীরা সমর্থকরা এক ধরনের ঝামেলা তৈরি করে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫০ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১১