তাঁতীবাজারে স্বর্ণ ব্যবসায়ি আবুল কালাম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন জানিয়ে শুক্রবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা: তাঁতীবাজারে স্বর্ণ ব্যবসায়ি আবুল কালাম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন জানিয়ে শুক্রবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আবুল কালাম হত্যা মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার ইন্সপেক্টর শায়রুল ইসলাম (পরিদর্শক-তদন্ত) বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পুলিশ তাঁতীবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বিজয় ও মোয়াজ্জেম নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।
শায়রুল ইসলাম আরো বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশদিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে শুক্রবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
শায়রুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আবুল কালাম হত্যাকান্ডের সঙ্গে তাঁতীবাজারের ব্যবসায়ি মহলের জড়িত থাকার ব্যাপারটি পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। তাঁতীবাজারের কিছু ব্যবসায়ি ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।
গত বুধবার বিকেলে তাঁতী বাজারে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে থাকা অবস্থায় সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে স্বর্ণ ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ নিহত হন।
এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে কোতোয়ালী থানার দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। বরখাস্তকৃতরা হলেন কোতোয়ালী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) বাকী বিল্লাহ ও কনস্টেবল আব্দুল মজিদ। লালবাগ জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) খোরশেদ আলম এ বরখাস্তের আদেশ দেন।
কোতোয়ালী থানার ওসি সালাহউদ্দিন খান বাংলানিউজকে জানান, সাময়িক বরখাস্তের আদেশ বুধবার রাতেই কার্যকর হয়।
এদিকে হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে তাঁতীবাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান বন্ধ করে দেন এবং এক সপ্তাহের মধ্যে এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের হুমকি দেন।
লালবাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) খোরশেদ আলম এক সপ্তাহের মধ্যে কালাম হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের মাধ্যমে শাস্তির ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দেন।
বাংলাদেশ সময় ১৫৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১০