প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেলিফোনের মাধ্যমে গোপালগঞ্জের হরিদাসপুরে ১ শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন।
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেলিফোনের মাধ্যমে গোপালগঞ্জের হরিদাসপুরে ১ শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন।
শনিবার সড়ক দুর্ঘটনায় সরকারের উচ্চ পর্যায়ের দু’জন কর্মকর্তা নিহত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী গোপালগঞ্জে তার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি বাতিল করে এই ব্যতিক্রম পদ্ধতিতে ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব রাজিয়া বেগম ও বিসিক চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান সকালে এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচিতে যোগ দিতে তারা ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন।
টেলিফোন বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে কোনো ধরনের উন্নয়ন কর্মকান্ডের জন্য বিদ্যুৎ অপরিহার্য। চারদলীয় জোট সরকার ও তত্ত্ব¦াবধায়ক সরকারের ৭ বছরে নতুন কোনো বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে ওঠেনি। কিন্তু এ সময়ে বিদ্যুৎ চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। এ জন্য আমরা কুইক রেন্টালসহ অতি দ্রুত বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘গোপালগঞ্জে ১ শ’ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ফলে গোপালগঞ্জসহ আশেপাশের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে। এ অঞ্চলে বিনিয়োগ বাড়বে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে এবং এ এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।’
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বর্তমান সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এলএনজি আমদানি, পারমানু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানী ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের ২৭টি জেলায় বিনামূল্যে ৫৫ লাখ এনার্জি সেভিং বাতি বিতরণ করা হয়েছে। এটা অব্যাহত থাকবে।’
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে টেলিফোনে আরও বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম, নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এনামুল হক এমপি, বিদ্যুৎ সচিব আবুল কালাম আজাদ, পিডিবির চেয়ারম্যান এএসএম আলমগীর কবির এবং আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জ ১ শ’ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ৭৭৪.৭১ কোটি টাকা। এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লি: এবং এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লি: ফার্নেস অয়েলভিত্তিক এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে। ২০১১ সালের আগষ্টে এ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় : ১৯১৮, জুলাই ৩১ ২০১০।