মীর কাসেম আলীর রিভিউ আবেদনের রায় নিয়ে তিনি ভেতরে ভেতরে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন আছেন এবং ফাঁসির রায় বহাল থাকলে খুবই আনন্দিত হবেন বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
ঢাকা: মীর কাসেম আলীর রিভিউ আবেদনের রায় নিয়ে তিনি ভেতরে ভেতরে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন আছেন এবং ফাঁসির রায় বহাল থাকলে খুবই আনন্দিত হবেন বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
তিনি বলেন, ‘ভেতরে ভেতরে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন আছি আগামীকালের জন্য। মীর কাসেম আলীর মামলাটি ১ নম্বরে আছে। ফাঁসির রায় বহাল থাকলে আমরা সবাই আনন্দিত হবো, খুশি হবো’।
সোমবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ফাঁসির রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর রিভিউ আবেদনের এ রায় দেওয়া হবে মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট)। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় রায়টি ১ নম্বরে রয়েছে।
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রায় ঘোষণা করবেন। অন্য বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও মোহাম্মদ বজলুর রহমান।
আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘গত পরশু সবাই যেভাবে উপস্থিত হয়েছেন, আগামীকালও উপস্থিত থাকবেন। মীর কাসেম আলীর বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করবেন। আপনাদের উপস্থিতিই হচ্ছে একটি প্রতিবাদ’।
গত বুধবার (২৪ আগস্ট) ও রোববার (২৮ আগস্ট) রিভিউ আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। রিভিউ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন মীর কাসেম আলীর প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর মধ্য দিয়েই শেষ হয় মীর কাসেম আলীর মামলার চূড়ান্ত বিচারিক প্রক্রিয়া।
এ রিভিউ আবেদন খারিজ হলে সরকারের সিদ্ধান্তে কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে শুরু হবে দেশের এই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় কার্যকরের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া। অবশ্য শেষ আইনি সুযোগ হিসেবে মীর কাসেম আলী তার অপরাধ স্বীকার করে ও ক্ষমা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানাতে পারবেন। সেটি না করা হলে বা প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হলে তাকে ফাঁসির দড়িতে ঝোলানোর ক্ষেত্রে আর কোনো বাধা থাকবে না।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে গত ০৮ মার্চ মীর কাসেম আলীর মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার সংক্ষিপ্ত আকারে চূড়ান্ত রায় দেন সর্বোচ্চ আদালত। রায়ে শহীদ কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিনসহ ছয়জনকে হত্যা-গণহত্যার দায়ে ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল রাখা হয়েছে চট্টগ্রাম অঞ্চলে মানবতাবিরোধী অপরাধের মূল হোতা মীর কাসেম আলীর।
গত ০৬ জুন ২৪৪ পৃষ্ঠার পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ।
গত ১৯ জুন ৬৮ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদন করেন মীর কাসেম আলী। এতে ফাঁসির রায় বাতিল করে খালাস ও অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আরজি জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধে আলবদর বাহিনীর তৃতীয় এই শীর্ষনেতা।
রিভিউ আবেদনে সর্বোচ্চ সাজার বিরুদ্ধে মোট ১৪টি যুক্তি দেখানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৬
ইএস/এএসআর
** মীর কাসেমের রিভিউ আবেদনের রায় কার্যতালিকায়