লালমনিরহাটে শীতের প্রকোপ প্রচণ্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। গত কয়েকদিনের ঘন কুয়াশা ও এর সঙ্গে কনকনে হিমেল বাতাস শীতের তীব্রতাকে যেন আরও বাড়িয়ে দিয়েছে!
লালমনিরহাট: লালমনিরহাটে শীতের প্রকোপ প্রচণ্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। গত কয়েকদিনের ঘন কুয়াশা ও এর সঙ্গে কনকনে হিমেল বাতাস শীতের তীব্রতাকে যেন আরও বাড়িয়ে দিয়েছে! এ অবস্থায় জন-জীবন যেমনি স্থবির হয়ে পড়েছে, তেমনি ছিন্নমূল ও দুস্থ মানুষজনকে পোহাতে হচ্ছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। এছাড়া শীতের পাশাপাশি শীতজনিত রোগেরও প্রকোপ বেড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শীতজনিত রোগের মধ্যে বিশেষ করে কোল্ড ডায়রিয়া দেখা দিয়েছে মারাত্মকভাবে। প্রায় প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অসংখ্য এসব রোগীদের চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এ রোগীদের মধ্যে শিশু এবং বৃদ্ধ-বৃদ্ধার সংখ্যাই বেশি বলে জানান চিকিৎসকরা।
এদিকে, লালমনিরহাটে আবহাওয়া অফিস নেই। ফলে শীতের মাত্রা জানা সম্ভব হয়নি। তারপরও গত কয়েকদিন ধরে সকাল থেকে দুপুর এবং সন্ধ্যা থেকে গোটা রাত কনকনে ঠাণ্ডায় জনজীবন এখন যবুথবু অবস্থায়! দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত মাঝে মধ্যে সূর্যের মুখ খানিকটা দেখা গেলে শীতের তীব্রতা একটু কম অনুভূত হয় মাত্র।
অপরদিকে, জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, শীতের এই ভয়াবহতায় এরই মধ্যে ৫ হাজার চাদর ও ২০ হাজার কম্বলের চাহিদা জানিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ফ্যাক্স বার্তা পাঠানো হলেও এখনো সে বরাদ্দ আসেনি। তবে সূত্রটির মতে, চলতি সপ্তাহে গোটা জেলায় ২ হাজার ৯শ কম্বল দুস্থ ও শীতার্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো ফ্যাক্স বার্তায় জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১০