রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো’র (ইপিবি) তালিকাভুক্ত ৩০টি খাতের কোনও অগ্রগতি নেই। গত আট মাসে এসব খাতে রপ্তানি কমেছে।
ঢাকা: রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো’র (ইপিবি) তালিকাভুক্ত ৩০টি খাতের কোনও অগ্রগতি নেই। গত আট মাসে এসব খাতে রপ্তানি কমেছে।
ফলে চলতি অর্থ বছরে এ খাতগুলো রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হবে বলে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো সূত্রে জানা গেছে।
ইপিবি’র উপ-পরিচালক জাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ২০০৯-২০১০ সালে বেশ কিছু খাত নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে নির্মাণ সামগ্রী ও পাল্প রয়েছে। গত অর্থ বছরে এ খাতগুলোতে কোনও লক্ষ্যমাত্রা না থাকলেও রপ্তানি আয় করেছে। অথচ চলতি অর্থ বছরে সে অনুযায়ী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও অনেক খাতেই কোনও রপ্তানি আয় দেখা যাচ্ছে না।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো তথ্য মতে, ৩০ খাতের মধ্যে নির্মাণ সামগ্রী, পাল্প, কাচ ও কাচ সামগ্রী, চা, সিমেন্ট, পাথর, লবণ, পেট্রোলিয়াম সামগ্রী, কেমিক্যাল, কাঠ ও কাঠ জাতীয় পণ্য খাতে লক্ষ্যমাত্রা’র চেয়ে অনেক কম রপ্তানি আয় হয়েছে।
দেখা গেছে, ২০১০-২০১১ অর্থ বছরের (জুলাই- ফেব্রুয়ারি) নির্মাণ সামগ্রী খাতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ কোটি ২০ লাখ ৮০ হাজার টাকা। অথচ এ খাত থেকে গত আট মাসে এক টাকাও রপ্তানি আয় হয়নি।
অথচ গত অর্থ বছর ২০০৯-২০১০ (জানুয়ারি-জুন) এ খাতে লক্ষ্যমাত্রা না থাকলেও রপ্তানি আয় হয়েছিল ২ কোটি ৭ লাখ টাকা।
দুই বছর আগে রপ্তানি খাতের সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে পাল্প।
২০০৯-২০১০ অর্থ বছরে (জানুয়ারি-জুন) এ খাতেরও কোনও লক্ষ্যমাত্রা ছিলো না। তারপরও ২০ লাখ ৭০ হাজার টাকা রপ্তানি আয় হয়েছে। কিন্তু এবার খাতটিতে কোনও রপ্তানি আয় হয়নি।
এছাড়া ২৮টি খাতে রপ্তানি আয় করা হলেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম।
খাত ওয়ারি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চা শিল্পে ২০১০-২০১১ অর্থ বছরে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
গত আট মাসের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৬ কোটি ৩৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা। বিপরীতে এ সময়ে আয় হয়েছে ১২ কোটি ৪২ লাখ টাকা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে যা ১৩ কোটি ৯৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা বা ৫২ দশমিক ৮৮ শতাংশ কম।
সিমেন্ট, লবণ ও পাথর খাতে ২০১০-২০১১ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬১ কোটি ৫৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
গত আট মাসের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০২ কোটি ৮১ লাখ টাকা। বিপরীতে এ সময়ে আয় হয়েছে ৪৬ কোটি ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে যা ৫৬ কোটি ৭৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা বা ৫৫ দশমিক ২৩ শতাংশ কম।
কাঠ ও কাঠ জাতীয় পণ্যে ২০১০-২০১১ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ কোটি ২১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
গত আট মাসের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১০ কোটি ২৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। রপ্তানি আয় হয়েছে ৬ কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে যা ৩ কোটি ৯৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা বা ৩৮ দশমিক ২৬ শতাংশ কম।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১১